উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে নবজাতক হত্যার ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ধূম্রজাল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই মা লাকি বেগম নবজাতকের গলা টিপে হত্যা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতলা মুরিবাড়ি গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে লাকি বেগম ওমানে ছিলেন। সেখানে তার প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে এবং গর্ভধারণ ঘটে। দেশে ফিরে লাকি গত ৫ ডিসেম্বর উজিরপুর হাসপাতালের এক কথিত মহিলা ডাক্তারের কাছে ভ্রুণ নষ্ট করার জন্য ১৫০০ টাকায় ওষুধ কেনেন।
সেই রাতেই প্রসব ব্যথা শুরু হলে লাকি বাথরুমে গিয়ে সন্তান প্রসব করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় দুই নারী রাজিয়া বেগম ও আছুরা বেগম জানিয়েছেন, তারা লাকিকে বাথরুমে নবজাতকের গলা চেপে ধরতে দেখেছেন।
পরে শিশুটির লাশ ছালার বস্তায় ভরে বাথরুমের পাশে ইটের নিচে রেখে মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন চলছে।
অভিযুক্ত লাকি বেগম জানান, “ওমানে থাকা অবস্থায় বৈধ বিয়ের মাধ্যমে এই সন্তান জন্ম নিয়েছে। তবে বিদেশে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়ার কারণে ওষুধ খেয়ে ভ্রুণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলাম। লোকলজ্জার ভয়ে দ্রুত মাটি চাপা দিয়েছি।”
তবে স্থানীয়দের দাবি, নিজের কৃতকর্ম ঢাকতেই লাকি বেগম নবজাতককে হত্যা করেছেন। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।