
নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের তাণ্ডবে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের শূন্য পয়েন্টসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা সম্পূর্ণ লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী প্রচণ্ড জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত হয়েছে সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন অবকাঠামো।
বিশেষ করে, নির্মাণাধীন ট্যুরিজম পার্ক থেকে পুর্বদিকে বিস্তৃত প্রায় ১,৩০০ মিটার দীর্ঘ সড়কের এক-তৃতীয়াংশ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা এ সড়কটিকে সাবেক মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের প্রায় ৪ কোটি টাকার ‘বাণিজ্যিক প্রকল্প’ বলে দাবি করে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রকৃত কোনো পরিবেশগত মূল্যায়ন ও সাগরের জোয়ার-ভাটার বাস্তবতা বিবেচনা না করেই সাগরের ওয়াটার লেভেল দখল করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সড়কটি নির্মাণ করা হয়।
আজকের জলোচ্ছ্বাসে পুরো এলাকার চেহারা পাল্টে গেছে। সৈকতের নিচু জায়গায় গড়ে ওঠা ‘সরদার মার্কেট’ নামের আলোচিত কাঠামোর নিচতলা বালু ও ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গেছে। ভবনটির ধসের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। ঝড়ের সময় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কোনোমতে মালামাল সরিয়ে নিতে পারলেও ঝড়ো ঢেউয়ে দোকানের খুঁটি ও পাটাতন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
এ ঘটনায় সৈকত সংলগ্ন অন্তত সাতটি স্থাপনা সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ধ্বংস হয়েছে সৈকতের নিরাপত্তার জন্য রাখা জিওব্যাগও। প্রায় ২০-৩০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসা সাতজন ক্ষুদ্র দোকানি তাদের সবকিছু হারিয়ে হতবিহ্বল অবস্থায় রয়েছেন। তাদের মতে, এই অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাস যেন গোটা কুয়াকাটার চেহারা বদলে দিয়েছে।
ঘটনার পর যোগাযোগ করা হলে কুয়াকাটা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী নিয়াজুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।