
কুয়াকাটা প্রতিনিধি | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
পটুয়াখালীর মহিপুরের লতিফপুর গ্রামে ভয়াবহ এক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তানভির আহাম্মেদ লুনা আকনের বাড়িতে হানা দেয় মুখোশধারী এক ডাকাতদল। সংঘবদ্ধ এই দলটি পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নির্মমভাবে মারধর করে, ঘরের দরজা ভেঙে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২ লাখ ২ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, ডাকাতরা সংখ্যায় ১০ থেকে ১৫ জন ছিল এবং প্রত্যেকেই মুখোশ পরা ও অস্ত্রসজ্জিত ছিল। তারা প্রথমে ঘরের প্রধান দরজা ভেঙে ঢোকে এবং পরিবারের সদস্যদের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর শুরু হয় পিটিয়ে জখম করার নৃশংসতা। আহতদের মধ্যে রয়েছেন তানভির আহাম্মেদ, তার স্ত্রী ও এক সন্তান।
ভুক্তভোগী তানভির আহাম্মেদ লুনা আকন বলেন,
“আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম, হঠাৎ দরজা ভাঙার শব্দ হয়। ওরা অস্ত্র ঠেকিয়ে বলে চুপচাপ থাকো, না হলে মেরে ফেলবে। আমরা ভয় পেয়েছিলাম, বাচ্চার সামনে এমন কিছু হবে ভাবতেও পারিনি।”
ঘটনার পরপরই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে, কিন্তু রাতের গভীরে এমন সংঘবদ্ধ ডাকাতি দীর্ঘদিন পর দেখা গেল।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান,
“ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।”
এদিকে স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় রাতের বেলা টহল জোরদার করা এবং দ্রুত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।