
সংবাদ ২৪ বিডি ডেস্ক রিপোর্ট:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আলোচিত অপহরণ মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ঘটনার মোড় ঘুরে যায় এক নাটকীয় অভিযানে। নিখোঁজ নারীকে উদ্ধার করা হয় প্রেমিকের হাত ধরে—যা পুরো ঘটনার ধারা পাল্টে দেয়।
২ এপ্রিল ২০২৫, রাতের আঁধারে নিখোঁজ হন কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম চাকামইয়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মোসাম্মৎ আখি আক্তার। পরদিন কলাপাড়া থানায় দায়ের করা হয় একটি অপহরণ মামলা (মামলা নং-০২, তারিখ: ০২-০৪-২০২৫)।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত তৎপর হয়ে আখির স্বামী, ননদসহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। এর পর থেকেই এলাকাজুড়ে শুরু হয় আলোচনা, গুঞ্জন এবং নানা জল্পনা।
তবে ৫ এপ্রিল রাতে ঘটনার দৃশ্যপট বদলে যায়। পটুয়াখালী জেলা ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে বরিশালের পার্শ্ববর্তী একটি গ্রাম থেকে আখি আক্তারকে উদ্ধার করে। তার সঙ্গে ছিলেন হাসান মাহমুদ (২৮), পিতা মৃত ফজলুর রহমান—যিনি আখির প্রেমিক হিসেবে পরিচিত।
বর্তমানে আখি ও হাসানকে কলাপাড়া থানা হাজতে রাখা হয়েছে। তদন্ত চলছে, তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে—এটি প্রেমঘটিত পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা, যা পরিবার ও সমাজের কাছে অপহরণ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছিল।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, “এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল—আবেগের জোয়ারে কখনো কখনো আইন, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক বন্ধন সবই ভেসে যেতে পারে। আর তার চরম মূল্য দিতে হয় নিরপরাধ পরিবারগুলোকে।”
কলাপাড়া থানা ও পটুয়াখালী ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্ত শেষে ঘটনার প্রকৃত রূপ গণমাধ্যমে তুলে ধরা হবে।
এদিকে, মিথ্যা অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে—এ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
আপনার মতামত শেয়ার করুন—এই ধরনের ঘটনার দায় কার? পরিবার, সমাজ না সম্পর্কের অপরিণততা?
(সংবাদ ২৪ বিডি)