
এম. নাছির উদ্দীন
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজামান কাফির বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ছাত্রলীগের দুই নেতা শাহাদাত হাওলাদার (২২) ও মাহফুজ মোল্লা (২১)-কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফেসবুকে কাফির প্রকাশিত বিভিন্ন কন্টেন্ট দেখে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে পরিকল্পিতভাবে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
সোমবার বিকাল ৩টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ জানান, গ্রেফতারকৃতরা বরিশালের দুই কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে শাহাদাতের বাড়ি বরগুনার আমতলী উপজেলার সেকান্দারখালী গ্রামে, আর মাহফুজের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পূর্ব টিয়াখালী গ্রামে।
কীভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে?
পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে বারোটার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা বরিশাল থেকে আমতলীতে এসে একটি দোকান থেকে ৫ লিটার ডিজেল কেনে। পরে মোটরসাইকেলে করে কাফির বাড়ির কাছে গিয়ে রান্নাঘরসহ বাড়ির চালায় ডিজেল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শাহাদাতকে বরিশাল থানা এলাকা ও মাহফুজকে পটুয়াখালী সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, ঘটনার পরপরই নুরুজামান কাফির পিতামাওলানা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান কলাপাড়া থানায় একটি অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে মাধ্যমে প্রকৃত অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে।
আরও কেউ জড়িত?
পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ জানান, এই ঘটনায় ইন্ধনদাতা ও অর্থের যোগানদাতাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এই গ্রেফতারের পর রাজনৈতিক মহল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি শুধু ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নয়, বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই অংশ।
ঘটনার পেছনে অন্য কারও ভূমিকা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।