
এম. নাছির উদ্দীন কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আদালত বর্জন করেছেন আইনজীবীরা। বুধবার (৫ মার্চ) কলাপাড়া চৌকি আদালত আইনজীবী ভবনে এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কলাপাড়া চৌকি আদালত আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান চুন্নু। এতে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান চুন্নু, অ্যাডভোকেট নাথুরাম ভৌমিক, অ্যাডভোকেট আব্দুস সত্তার (৫), অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট গোফরান বিশ্বাস পলাশ, অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট খন্দকার শাহাবুদ্দিন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট কাওসার, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায় বিচারিক কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছেন। প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেন করে জামিন ও রায় প্রদান করছেন, যা আদালতের ভাবমূর্তি সংকটাপন্ন করেছে এবং বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
উপজেলা বিএনপির সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান চুন্নু বলেন, “দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ন্যায়বিচার ব্যাহত হচ্ছে। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হচ্ছে না, ফলে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, “আমি তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় প্রতিশোধমূলকভাবে আমার পরিচালনাধীন বেশ কয়েকটি মামলায় অন্যায় আদেশ দিয়েছেন।”
জেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান চুন্নু বলেন, “আইনজীবীরা সর্বসম্মতভাবে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের অপসারণের দাবিতে আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা এই রেজুলেশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাব। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আইনজীবীরা কঠোর কর্মসূচি পালন করবে।”