কলাপাড়ায় মিষ্টি পানির সংকটে তরমুজের কম ফলন, খাল পুনঃখননের দাবি কৃষকদের

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মিষ্টি পানির অভাবে তরমুজ চাষে বিপর্যয় নেমে এসেছে। আশানুরূপ ফলন না পেয়ে হতাশ অনেক কৃষক। মিঠাগঞ্জ গ্রামের খোকন শিকদার সরকারি খালের পানি ব্যবহার করে ভালো ফলন পেলেও, যাঁরা লবণাক্ত নদীর পানি ব্যবহার করেছেন, তাঁদের চাষ ক্ষতির মুখে পড়েছে।

খাল শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে লবণাক্ত পানি ব্যবহার করায় তরমুজের ফলন কমে গেছে এবং আকারও ছোট হয়ে গেছে। চাষিদের দাবি, দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো পুনরুদ্ধার ও খনন করা হোক। কৃষকরা বলেন, সরকার চাইলে এসব খাল ইজারা না দিয়ে কৃষকদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখতে পারে। প্রয়োজনে কৃষকরাই চাঁদা তুলে ইজারার টাকা পরিশোধ করতে প্রস্তুত।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঘ মাসের শুরুতে বোরো আবাদের জন্য চারা রোপণ করা হলেও পানির অভাবে তরমুজ চাষীরা সংকটে পড়েছেন। প্রথমদিকে পুকুর, ডোবা ও খালের পানি ব্যবহার করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হলেও এখন সব জলাশয় শুকিয়ে গেছে। ফলে অনেক জায়গায় তরমুজ গাছ মরে যাচ্ছে, চারা পচে নষ্ট হচ্ছে।

লতাচাপলী ইউনিয়নের কৃষক ছোরাপ মিয়া বলেন, “বহুদিন ধরে খালগুলো সংস্কার হয়নি। ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৫০০ ফুট প্রশস্ত পাখিমাড়া খালের বেশিরভাগ স্লুইস গেট অকেজো হয়ে গেছে। জোয়ারের সময় পলি জমে খালের নাব্যতা কমে গেছে। এতে করে পানির সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। যদি খাল পুনঃখনন করা হতো, তাহলে তরমুজ চাষ আরও বাড়ানো যেত।”

মহিপুরের কৃষক দবির উদ্দিন অভিযোগ করেন, কিছু প্রভাবশালী মহল খাল লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছে। এতে করে জোয়ারের সময় নিচের মিষ্টি পানির সঙ্গে লবণ পানি মিশে যায়। ফলে এই পানি দিয়ে তরমুজ চাষ করলে ক্ষেত পুড়ে যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন জানান, এ বছর কলাপাড়ায় ৩,৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। অনেক খালে পানি না থাকায় কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।


এটি আগের নিউজের ভাব বজায় রেখে আরও স্পষ্ট, তথ্যসমৃদ্ধ ও ইউনিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনি চাইলে আরও কিছু পরিবর্তন বা সংযোজন করতে বলতে পারেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *