কুয়াকাটায় পর্যটকদের নিরাপত্তাহীনতা, ট্যুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সংবাদ ২৪ বিডি ডেস্ক নিউজ :

 বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কুয়াকাটা দিন দিন পর্যটকদের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যকারিতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়াকাটার সূর্যোদয় পয়েন্টে ঘটে যাওয়া মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকদের মাঝে। ঝিনাইদহের এক প্রবাসীর স্ত্রী লীমার হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে দুর্বৃত্ত পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, নিকটস্থ পুলিশকে জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

নবদম্পতি শাকিল-মেহেরুনসহ অন্যান্য পর্যটকরা জানান, সূর্যোদয় পয়েন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কোনো নিরাপত্তা বাহিনী ছিল না, যা তাদের শঙ্কিত করেছে। খুলনা থেকে আসা কামাল হোসেন বলেন, ‘কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে এই জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় কোনো ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল দেখা যায়নি, যা আমাদের নিরাপত্তাহীনতায় ফেলেছে।’

এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে কুয়াকাটায় পর্যটকদের সাথে অসদাচরণ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। স্পিডবোট চালকের হাতে এক পর্যটক লাঞ্ছিত হওয়া, মোটরবাইক চালকের হামলায় পর্যটকের হাত ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনার পরও ট্যুরিস্ট পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ বাড়ছে।

ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু বলেন, ‘বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম সীমিত আকারে চলছে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো জরুরি।’

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, ‘কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল বাড়ানো উচিত, নাহলে পর্যটকেরা মুখ ফিরিয়ে নেবে।’

এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের এএসপি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছে কাউয়ার চরে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে, তবে ওই সময় সেখানে আমাদের ফোর্স ছিল না। আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কুয়াকাটার সুনাম ধরে রাখতে হলে ট্যুরিস্ট পুলিশের নজরদারি বাড়াতে হবে, অন্যথায় এই জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য পর্যটকশূন্য হয়ে পড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *