
কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক শুমারির বিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন আইটি সুপারভাইজার ও গণনাকারীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের জোন-১ এর আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণনাকারী ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তা, কাওসার আহম্মেদসহ অন্যান্য ভুক্তভোগীরা।
সাইফুল ইসলাম জানান, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামানের নির্দেশে তিনি ও ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তা ১৩৬টি ইউনিটের তথ্য সংগ্রহ করেন। কাজের বিল হিসেবে তাদের প্রত্যেকের ১৫ হাজার টাকা এবং প্রশিক্ষণ ফি বাবদ ১,৬০০ টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নুরাজ্জামান ওই টাকা পরিশোধ না করে গোপনে নিজের ও তার শ্বশুরের বিকাশ নম্বরে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রেই নয়, বেশ কয়েকজনের ভুয়া নাম ব্যবহার করে নুরাজ্জামান লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মহিপুরের জোনাল অফিসার হিসেবে নিজের শ্যালককে নিয়োগ দিলেও তিনি প্রশিক্ষণ নেননি কিংবা কোনো কাজ করেননি, তবুও বিল ও ভাতা গ্রহণ করেছেন।
ধানখালীতে ছয়জন সুপারভাইজার নিয়োগের নিয়ম থাকলেও মাত্র একজন দিয়ে কাজ করিয়ে বাকিদের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, পাঁচটি জোনে কাগজে-কলমে একজন আইটি সুপারভাইজার, ৬-৭ জন সুপারভাইজার ও ৪৮ জন গণনাকারী নিয়োগ থাকলেও বাস্তবে ৫০ শতাংশের কম নিয়োগ দিয়ে বাকি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সাইফুল ইসলামের স্ত্রীকে নিয়োগ না দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে এ ধরনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।”
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা, যাতে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হয়।