
এম. নাছির উদ্দীন, কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাভিশন টেলিভিশনের ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে কলাপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়, যেখানে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সাংবাদিক এবং শত শত সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
বিক্ষোভে উত্তাল কলাপাড়া, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস শফিকুর রহমান টুলু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সি, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক আনাম সুমন, ম. সেলিম শিকদার, যুবদলের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ এবং বিএনপি নেতা কবিরুল ইসলাম মৃধা।
নেতারা বলেন, “একজন যুবদল নেতা ও সাংবাদিকের ওপর এই বর্বরোচিত হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর চরম আঘাত।” তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে হুঁশিয়ারি দেন, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা, পরিবার বলছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভার নিজ বাসার সামনে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত জহিরুল ইসলাম মিরনের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়।
পরিবারের দাবি, এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যার চেষ্টা। তারা বলেন, “মিরনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।”
হামলায়: ✅ এক হাতের রগ সম্পূর্ণ কেটে যায়
✅ অন্য হাতের কব্জি ঝুলে যায়
✅ মাথা, চোখ, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর ক্ষত
গুরুতর আহত অবস্থায় মিরনকে প্রথমে কলাপাড়া হাসপাতাল, পরে বরিশাল এবং অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশের তদন্ত ও স্থানীয়দের ক্ষোভ
মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানান, “সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।” তবে এখনো কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিক মহল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, “দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।”