
বিশেষ প্রতিবেদক:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা-শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবা উদ্দীন আরিফের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ভান্ডারিয়া থেকে বাড়ি ফেরার পথে নতুন বাইপাস মোড়ে এই হামলা হয়। হামলার ঘটনায় ১২ জনকে নামীয় ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান মেজবা উদ্দীন আরিফ ইউনিয়ন পরিষদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অফিসিয়াল কাজ শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের নতুন বাইপাস মোড়ে মো. আবু হানিফ খলিফাসহ একদল সন্ত্রাসী আমার গতিরোধ করে। তারা লোহার রড ও জিআই পাইপ দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় এবং আমার কাছে থাকা ৩ লাখ ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় প্রতিবাদ করলে আমার সঙ্গে থাকা সাইমুন হোসেন ও জাহিদুল ইসলামকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।”
চেয়ারম্যান আরিফ আরও জানান, “তিন মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদে এক অজ্ঞাত যুবক ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। আমি ভান্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছি। পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি রানা নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।”
অভিযুক্ত মো. আবু হানিফ খলিফা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা আরিফ চেয়ারম্যানের ওপর কোনো হামলা করিনি বা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং তিনি এবং তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের কয়েকজন কর্মীকে আহত করেছেন। তার চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমাদের হয়রানি করতেই এই ঘটনা সাজানো হয়েছে।”
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ আনওয়ার বলেন, “ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে রানা নামের একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
হামলার ঘটনার পর এলাকার মানুষ এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।