পাংগাশিয়া নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির স্বচ্ছতা দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন


পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী জেলার ঐতিহ্যবাহী পাংগাশিয়া নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির নির্বাচনে স্বচ্ছতা, মাদ্রাসার সম্পত্তির হিসাব ও আয়-ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ প্রকাশের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করেছে।

আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে মাদ্রাসার বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, মাদ্রাসার প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। গভর্নিং বডির নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাঁরা আরও দাবি করেন যে, মাদ্রাসার সম্পত্তি এবং আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব তাদের জানানো হয় না। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও প্রশাসন তা সমাধানে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাঁরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে গভর্নিং বডির নির্বাচনে স্বচ্ছতা এবং প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের মাদ্রাসার প্রশাসন আয়-ব্যয়ের কোনো সঠিক হিসাব প্রকাশ করে না। আমরা চাই, মাদ্রাসার সম্পত্তি ও আর্থিক কার্যক্রমের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ সবার সামনে প্রকাশ করা হোক। গভর্নিং বডির নির্বাচনে যেন কোনো পক্ষপাতিত্ব বা অনিয়ম না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।”

আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, “আমরা পড়াশোনা করতে এসেছি। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য মানববন্ধন করতে বাধ্য হচ্ছি। প্রশাসন যদি দ্রুত সমস্যাগুলোর সমাধান না করে, তাহলে আমরা আরও বড় আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।”

মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। তাঁদের উদ্বেগ দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদেরও শান্ত থেকে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া উচিত।”

স্থানীয় অভিভাবক ও সমাজসেবীরা মনে করেন, মাদ্রাসার সুনাম রক্ষার জন্য প্রশাসন ও গভর্নিং বডির উচিত দ্রুত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছানো। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও সংযম ও সহনশীলতার পরিচয় দেওয়া প্রয়োজন।

পাংগাশিয়া নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এই মানববন্ধন প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবিকে সামনে নিয়ে এসেছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ দূর করা। অন্যথায়, এই অস্থিরতা শিক্ষার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং মাদ্রাসার দীর্ঘমেয়াদি সুনামে প্রভাব ফেলতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *