
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে স্বামী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে তার ১৬ বছর বয়সী স্ত্রী মাফিয়া বেগমকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের পাঞ্জপাড়া গ্রামে মাফিয়া তার শ্বশুরবাড়িতে মারা যান। মাফিয়ার পরিবার দাবি করছে, এটি হত্যাকাণ্ড, তবে মেহেদীর পরিবার বলছে এটি আত্মহত্যা।
মাফিয়ার মা হাফিজা বেগম ও ভাই বনি আমিনের অভিযোগ, প্রায় তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে মাফিয়ার বিয়ে হয় মেহেদী হাসানের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই মেহেদী মাফিয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করছিলেন।
শুক্রবার জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মাফিয়া তার ছোটবোন মারিয়াকে স্বামীর বাড়িতে পাঠান। মারিয়া ফিরে এসে জানায়, মেহেদী তার বোনকে ব্যাপক মারধর করছেন। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় মেহেদী তার শ্বশুর হারিছকে ফোন করে জানায়, মাফিয়া গলায় দড়ি দিয়েছে। মা হাফিজা বেগম ও বাবা হারিছ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাফিয়াকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাফিয়ার পরিবার হত্যার অভিযোগ তুললেও মেহেদীর পরিবার দাবি করছে, মাফিয়া গোপনে ঘরের দোতলায় গিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ জানান, শুক্রবার দুপুরে মাফিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।