এম. নাছির উদ্দীন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও বরিশাল অঞ্চলের অভিজ্ঞ রাজনীতিক আলহাজ্ব এবিএম মোশারফ হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে দক্ষিণবঙ্গ অবসরপ্রাপ্ত সেনা ঐক্য সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কলাপাড়ার নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দক্ষিণবঙ্গ অবসরপ্রাপ্ত সেনা ঐক্য সমবায় সমিতির নবগঠিত কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি মো. শামস উদ্দিন বলেন, “আমরা গর্বিত যে, আমাদের সংগঠন একজন দেশপ্রেমিক, নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ ও সংগঠনের প্রতি দায়িত্ববান নেতাকে সম্মান জানাতে পেরেছে।”
এ সময় এবিএম মোশারফ হোসেন বলেন,
“রাজনীতি কেবল ক্ষমতার খেলা নয়—এটি জনসেবার আদর্শিক ক্ষেত্র। দায়িত্ব, ত্যাগ ও আদর্শচর্চাই একটি সংগঠনকে টিকিয়ে রাখে। এই সম্মাননা আমাকে আরও দায়বদ্ধ করেছে।”
তিনি আরও বলেন,
“বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র চরম সংকটে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সংকট এবং শিক্ষা-প্রশাসনে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। এই পরিস্থিতিতে দলমত নির্বিশেষে সকল নাগরিকের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা অপরিহার্য।”
সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, কলাপাড়া উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটির পক্ষ থেকেও এবিএম মোশারফ হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি শাহাবুদ্দিন তালুকদার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শিক্ষা ও মূল্যবোধ নিয়ে এবিএম মোশারফ হোসেন বলেন,
“শিক্ষা, নৈতিকতা ও রাজনৈতিক সচেতনতা—এই তিনটি উপাদান একটি জাতিকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে যেতে পারে। বিএনপি সেই রাজনৈতিক শক্তি, যা গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।”
অনুষ্ঠানগুলোতে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফরুজ্জামান খোকন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম সিকদার ও কামরুজ্জামান তালুকদার, এবং পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরান বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন,
“এবিএম মোশারফ হোসেন শুধু আমাদের সংগঠনের গর্ব নন, বরং তিনি জাতীয় রাজনীতিতে আদর্শ নেতৃত্বের প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বে কলাপাড়ায় বিএনপির ভিত্তি আরও দৃঢ় হচ্ছে।”
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, “তিনি একজন শিক্ষাবান্ধব রাজনীতিক। তাঁর দিকনির্দেশনায় প্রাথমিক শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন সম্ভব।”
এই আয়োজনে বক্তারা জানান, এই সম্মাননা ও শুভেচ্ছা অনুষ্ঠান ছিল একটি মূল্যবোধভিত্তিক রাজনৈতিক সম্প্রীতির প্রতিচ্ছবি—যেখানে ব্যক্তি নয়, মূল্যায়ন হয়েছে আদর্শ, নেতৃত্ব এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার।