
এম. নাছির উদ্দীন
পটুয়াখালীর মহিপুরে সেনা সদস্য মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে মহিপুর থানার পুরান মহিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত যুবক মিশকাত (২৫) বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার বিকেলে মিশকাতের বাবা মো. শাহ আলম ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কি ঘটেছিল?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১১ বছর আগে মোহাম্মদ আলামিন (৩০) ও মোসা. রীনা আক্তারের (২৮) বিয়ে হয়। তাদের সংসারে পাঁচ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে রীনা আক্তার স্বামী আলামিনের বিরুদ্ধে কয়েক মাস আগে যৌতুক মামলা করেন।
আলামিন ঢাকায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে কর্মরত থাকায় মামলার ওয়ারেন্ট সম্পর্কে জানতেন না। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আত্মীয়রা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করতে রীনার বাড়িতে যান। ফেরার পথে সেনা সদস্য মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পাঁচজন মিশকাতকে আক্রমণ করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, মিশকাতকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাধা দিতে গেলে আরও কয়েকজনকে আঘাত করা হয়। হামলাকারীরা মিশকাতের মোবাইল, ৩৭ হাজার টাকা, মানিব্যাগ ও এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশ এসে আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
ভুক্তভোগীদের বক্তব্য
মিশকাত হাসপাতালে কাতর অবস্থায় বলেন, “এভাবে কেউ কাউকে মারতে পারে না। পুলিশ সময়মতো না এলে আমাকে মেরেই ফেলত।”
তার বাবা মো. শাহ আলম বলেন, “আমি সামনে গেলে আমাকেও আঘাত করা হয়। আমি আইনের সঠিক বিচার চাই।”
সেনা সদস্যের দাবি
অভিযুক্ত সেনা সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, “আমার বোন জামাই পরকীয়ায় আসক্ত। তাকে সংশোধন করতে বলেছিলাম, কিন্তু তারা ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে মামলা করেছি। তারা দলবল নিয়ে আমার ভাগ্নেকে অপহরণের চেষ্টা করছিল। আমি বাধা দিলে এই ঘটনা ঘটে।”
পুলিশের বক্তব্য
মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ হালদার বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে।”