কলাপাড়ায় চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ প্রতিরোধে সক্রিয় ইসলামী আন্দোলন: অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাছ বাজার, বাসস্ট্যান্ড, হাট-বাজার, খেয়াঘাটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দীর্ঘদিন ধরে চলমান চাঁদাবাজি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ৫ আগস্টের পর থেকে সংগঠনটি দৃঢ়ভাবে এসব অপরাধ রোধে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সোমবার (১২ মে) দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কলাপাড়া উপজেলা সভাপতি মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, চাঁদাবাজি রোধে সোচ্চার হওয়ার কারণে একটি কুচক্রী মহল সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করছে।

তিনি জানান, সংগঠনের পক্ষ থেকে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে যেসব কার্যক্রম চালানো হয়েছে, তা আইনগতভাবে যথাযথ। ইতিমধ্যে এ নিয়ে একটি উকিল নোটিশও পাওয়া গেছে, যার জবাব দেয়া হয়েছে সাহসিকতার সাথে। এতে এলাকায় চাঁদাবাজির প্রবণতা অনেকটা কমে এসেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, টিয়াখালী ব্রিজ সংলগ্ন একটি জমির মালিক ওসমান গনি প্যাদা দীর্ঘদিন ধরে নিজের জমির ভিতর দিয়ে ভারী যান চলাচলের জন্য রাস্তা করে দিয়েছেন এবং এর জন্য যান প্রতি সামান্য অর্থ আদায় করে আসছিলেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি লিখিত চুক্তিও রয়েছে। ওসমান গনি অসুস্থ থাকায় বর্তমানে তার ভাতিজা ইয়াসিন প্যাদা দায়িত্ব পালন করছেন, যিনি ইসলামী আন্দোলনের ছাত্র-যুব বিষয়ক সম্পাদক। এ সুযোগে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে জড়িয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ ছড়িয়ে দলের সুনাম ক্ষুণ্নের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।

মুফতি হাবিবুর রহমান আরও বলেন, কলাপাড়ায় যেসব অনিয়ম, চাঁদাবাজি ও সালিশ বাণিজ্য চলে আসছিল—তা রোধে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। অথচ একটি মহল রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে চলেছে। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কলাপাড়া শাখার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও অর্ধশতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *