
রাজাপুর প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার ঈদগাহ মাঠে দীর্ঘদিনের ইমাম মাওলানা আবুল কালামকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টায় ঈদের নামাজের পূর্ব মুহূর্তে তাকে নামাজ পড়ানো থেকে বাধা দেওয়া হয় এবং জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মাওলানা আবুল কালাম দীর্ঘদিন ধরে ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি করছিলেন। কিন্তু নামাজের আগে তাকে বিনা নোটিশে সরিয়ে দিয়ে অন্যজনকে ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অনেকে এটিকে ধর্মীয় বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
সূত্র মতে, গত ২৭ রমজান জামায়াত ইসলামী পরিচালিত একটি ইসলামি পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য রাখার কারণে ইমামকে অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নামাজে অংশ নিতে আসা অনেক মুসল্লি ক্ষোভ প্রকাশ করে ঈদগাহ ত্যাগ করেন।
এ সময় শিবিরের জেলা সভাপতি মো. সায়েম প্রতিবাদ জানালে কিছু লোক তার উপর চড়াও হয় এবং হুমকি দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম এই ঘটনাকে ‘ফ্যাসিস্ট আচরণ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “এ ধরনের অপব্যবহার জনগণ কখনো মেনে নেবে না।”
ভুক্তভোগী ইমাম মাওলানা আবুল কালাম বলেন, “একজন আলেমকে এভাবে অপমান করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের কাছে সুবিচার চাই।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। স্থানীয় মুসল্লিরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।