
মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার মনপুরার মেঘনা নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে শত শত নৌকা মাছ শিকার করছে। তবে, মৎস্য বিভাগের কোনো কার্যকরী তৎপরতা চোখে পড়েনি। নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে প্রচার-প্রচারণার অভাব ও অভিযান পরিচালনায় গাফিলতির কারণে স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, শুক্রবার (১ মার্চ) মধ্যরাত থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ। বিশেষত, জাটকা রক্ষায় এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়।
কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার দিনভর উপজেলার হাজীরহাট লঞ্চঘাট সংলগ্ন মেঘনায় অসংখ্য মাছ ধরার নৌকা ও হাজারো বেহুন্দি জাল ফেলা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই জেলেরা মাছ শিকার করছে, অথচ মৎস্য বিভাগ কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনপুরায় উপস্থিত ছিলেন না। মৎস্য বিভাগ রাতেও কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি, যা প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার সুস্পষ্ট উদাহরণ।
এদিকে, অভিযান না থাকায় শনিবার সকালে উপজেলার হাজীরহাট বাজারে অবাধে জাটকা, ট্যাংরা, পোমা, চিংড়িসহ বিভিন্ন ছোট মাছ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, তিনি অফিসের কাজে ভোলায় অবস্থান করছেন এবং শুক্রবার রাতে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তবে কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিখন বণিক বলেন, “উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয়নি। তবে সোমবার (৩ মার্চ) অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই এমন উদাসীনতা ও নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।