পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুর জেলার সাতটি উপজেলা—ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, কাউখালী, নাজিরপুর, স্বরূপকাঠি, ইন্দুরকানী এবং পিরোজপুর সদর—মাদক, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর ৬৩টি মসজিদে ইমামদের সহযোগিতায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ বয়ান দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রচারপত্র বিতরণ এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
ওসির আহ্বান:
এসময় ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ আনওয়ার মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, “মাদক, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদবিরোধী অপরাধীদের শনাক্ত করে পুলিশের সহায়তা করুন। পুলিশ জনগণের সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত।” তিনি জনগণকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
জেলা পুলিশ প্রশাসনের কার্যক্রম:
পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার প্রায় ১২ লাখ মানুষের জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই জনহিতকর কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে একটি প্রচারপত্র প্রকাশ করা হয়, যেখানে সমাজকে মাদক, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতামুক্ত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রচারপত্রে উল্লেখ করা হয়, “জনগণ ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করলে সমাজে অপরাধ দমন করা সম্ভব। পুলিশ এবং নাগরিকদের একাত্ম প্রচেষ্টার মাধ্যমেই একটি নিরাপদ ও মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব।”
পুলিশ সুপারের বক্তব্য:
জেলা পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের বলেন, “পুলিশ জনগণের বন্ধু। আমরা সমাজে সকল প্রকার অন্যায়-অবিচার রোধে সচেতন নাগরিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি। পিরোজপুরকে একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর। সবার সহযোগিতায় আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যেখানে মানুষের জীবন হবে শান্তি, সম্প্রীতি এবং মানবিকতায় ভরপুর।”
তিনি আরও বলেন, “ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রাখতে এবং অপরাধ দমনে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।”
পুলিশ প্রশাসনের এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে সচেতন নাগরিকরা সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।