পটুয়াখালী সংবাদদাতা:
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় চাঁদাবাজি ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের দুমকি উপজেলা ও জেলা শাখার দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চাঁদা দাবির অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুমকি উপজেলা শাখার সদস্য জি এম অলিউর রহমানকে এবং শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালী জেলা শাখার সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. কাউসার আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি জাকিয়া বেগম টিয়া নামে এক নারী দুমকি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যেখানে তিনি যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ আনেন। এরপর ২৭ জানুয়ারি একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বেচ্ছাসেবক দল পটুয়াখালী জেলা শাখা অলিউর রহমানকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মো. মশিউর রহমান মিলন ও সাধারণ সম্পাদক মো. এনায়েত হোসেন মোহন এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
অন্যদিকে, স্বেচ্ছাসেবক দল পটুয়াখালী জেলা শাখার সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. কাউসার আহমেদকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল বহিষ্কার করেছে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তথ্য অনুসারে, কাউসার আহমেদ বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকের নাম ব্যবহার করে অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। এছাড়া, তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায়ও সক্রিয় ছিলেন, যা সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতিমালার লঙ্ঘন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এই বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন করেছেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের কাউসার আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।