
সংবাদ ২৪ বিডি ডেস্ক নিউজঃ
শিশু আছিয়ার ওপর যে ভয়াবহ অত্যাচার চালানো হয়েছে, তার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন চিকিৎসক। তিনি বলেন, “এমন অবস্থায় সাধারণত ভুক্তভোগী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আছিয়া যে এখনো বেঁচে আছে, সেটাই বিস্ময়ের বিষয়!”
চিকিৎসকের বর্ণনায় উঠে আসে বিভীষিকাময় চিত্র। আছিয়ার বয়স কম হওয়ায় তার গোপনাঙ্গ স্বাভাবিকভাবেই ছিল সংবেদনশীল ও সংকীর্ণ। কিন্তু বর্বর নির্যাতনকারীরা কিছু ধারালো বস্তু দিয়ে জোরপূর্বক ক্ষত সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। আনুমানিক ৫ সেন্টিমিটার গভীর ওই ক্ষতচিহ্নের পাশাপাশি তার শরীরের ভেতরেও সূক্ষ্মভাবে আঁচড়ের দাগ পাওয়া গেছে, যা দীর্ঘ সময় ধরে করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নৃশংসতার এখানেই শেষ নয়! নির্যাতনের সময় আছিয়ার মুখ চেপে ধরা হয়েছিল যাতে সে কোনো আওয়াজ করতে না পারে। পরবর্তীতে আশপাশে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে এক ব্যক্তি তার গলা চেপে ধরে, তাকে মেরে ফেলার জন্য। অক্সিজেনের অভাবে শিশুটি জ্ঞান হারায়, মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে।
চিকিৎসকের মতে, এ ধরনের আঘাত সাধারণত প্রাণঘাতী হয়। অথচ, অবিশ্বাস্যভাবে আছিয়া এখনো বেঁচে আছে, যা তার জন্য এক অলৌকিক ঘটনা।
এ নির্মমতার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে উত্তাল জনমত।