এম. নাছির উদ্দীন,কলাপাড়া, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ব্যবস্থাপনায় নতুন প্রাণ সঞ্চার হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের প্রতি অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনসহ নানা মহল।
এই নতুন কমিটি সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, “নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিচ ব্যবস্থাপনায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাদের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।”
নতুন সদস্যরা দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, তারা কুয়াকাটার প্রকৃতি ও পর্যটন সম্ভাবনাকে সামনে রেখে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। কুয়াকাটার সৌন্দর্য ও সুনাম ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে তারা সচেষ্ট হবেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, এই কমিটি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে কুয়াকাটা সৈকত ফিরে পেতে পারে তার হারানো শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা ও পর্যটকবান্ধব পরিবেশ। এক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ের সক্রিয় সহযোগিতাও জরুরি।
উল্লেখ্য, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরেই এখানকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা অভিযোগ ছিল। নতুন কমিটি সেই ব্যবস্থাপনায় পেশাদারিত্ব আনবে বলে সকলেই আশা করছেন।
কমিটির নতুন সদস্যদের মধ্যে আছেন:
মোঃ মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, কুয়াকাটা পৌর বিএনপি (জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত)
মাওলানা শহিদুল ইসলাম, আমীর, জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ, কুয়াকাটা পৌর শাখা
মোঃ ফজলুল হক খান, সভাপতি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, কুয়াকাটা পৌর শাখা
সভাপতি, হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, কুয়াকাটা
সভাপতি, কুয়াকাটা প্রেস ক্লাব
সৈয়দ মোঃ ফারুক, পর্যটন ব্যবসায়ী
মোঃ রাসেল খান, পর্যটন ব্যবসায়ী
মোঃ শাহীন আলম, পর্যটন ব্যবসায়ী
জহিরুল ইসলাম মীরন, পর্যটন ব্যবসায়ী
কেএম বাচ্চু, পর্যটন ও পরিবেশ কর্মী
সভাপতি, ট্যুর অপারেটিং অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা
ব্যবস্থাপক, পর্যটন হলিডে হোমস, কুয়াকাটা (বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের প্রতিনিধি)
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী (সদস্য সচিব)
এছাড়াও কমিটিতে আরও কয়েকজন সচেতন নাগরিক ও পেশাজীবী যুক্ত আছেন, যাদের অভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতা এই উদ্যোগকে সফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কার্যকর ভূমিকা থাকলে সৈকতের সৌন্দর্য পুনরুদ্ধার, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি অনিয়ম-দুর্নীতিও হ্রাস পাবে।