
এম. নাছির উদ্দীন কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে এবং আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ না হলে স্বেচ্ছায় কারাবরণের আলটিমেটাম দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তদের দাবির সমন্বয়ক রবিউল আউয়াল অন্তর।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি অপহরণের শিকার হয়ে চারদিন পর পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হওয়ার পর আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সহ-সম্পাদক রবিউল আউয়াল অন্তর বলেন, “একটি পক্ষ আমাকে অপহরণ ও গুম করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের আন্দোলন থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্নীতিবাজ চক্র জড়িত। বর্তমানে প্রশাসন নিরীহ গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে, ইতোমধ্যে দুই আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে তাদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী অন্তত একজনকে চাকরি দেওয়া, অধিগ্রহণ করা জমির দেড়গুণ ক্ষতিপূরণ প্রদান, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবেক এমডি খোরশেদ আলম, পিডি শাহ আব্দুল মাওলাসহ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের তদন্তের আওতায় এনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।
রবিউল আউয়াল অন্তর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমাদের দাবি মানা না হলে এবং গ্রামবাসীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ না হলে আমি নিজেই স্বেচ্ছায় কারাবরণ করব।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম অভিযোগ করেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সমর্থন জানানোর কারণে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, “একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আমাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত রাখতে চায়। আমরা দীর্ঘ সাত বছর ধরে যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, সেই আন্দোলনের ফসলই বর্তমান সরকার। অথচ আজ আমরা নিজেরাই দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছি। তাহলে পূর্বের শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে বর্তমান সরকারের পার্থক্য কোথায়?”