
এম. নাছির উদ্দীন
সাবেক সংসদ সদস্য পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মহিবুর রহমানের সহধর্মিণী…”
ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফাতেমা আক্তার রেখার ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাকিব মুসুল্লির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাকিব মহিপুর থানা শাখার ‘জয় বাংলা ক্লাব’-এর সভাপতি হিসেবে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় গড়ে তোলা ‘ফেয়ার মাইন্ড সমাজসেবা সংগঠন’টি মূলত চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত হতো। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উপর চাপ সৃষ্টি করে এই সংগঠনের নামে অর্থ সংগ্রহ করা হত। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
রাজনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে রাকিব এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন এবং সাভারে আশ্রয় নেন। সেখানে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন এবং আশ্চর্যজনকভাবে সংগঠনের সাভার উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে নির্বাচিত হন।
এই ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা প্রশ্ন তুলছেন, “দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তি কীভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বস্থানে আসতে পারেন?”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক আবু সালেহ অমি বলেন, “জুলাই আন্দোলনে আমরা জীবন দিয়ে দেশটাকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করেছি। একজন দোসর কীভাবে উপজেলাভিত্তিক দায়িত্ব পায়? আমরা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের কাছে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তাকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা খোঁজ নিচ্ছি। প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”