
ফোরকানুল ইসলাম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি ও ঘরবাড়ি দখলের অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই সহোদর ভাই গোলাম মোস্তফা ও গাউস মাতুব্বর। বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গোলাম মোস্তফা মাতুব্বর। তিনি জানান, ২০১২ সালে কলাপাড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছামেদ আলীর অংশ থেকে জে.এল নং-৬ খেপুপাড়া মৌজার ২১০ নং খতিয়ানের জমি তারা বৈধভাবে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে সেখানে তিনটি টিনশেড ঘর নির্মাণসহ সীমানা প্রাচীর স্থাপন করে বসবাস করতে থাকেন। বর্তমানে তাদের নির্মিত ঘরে দুলাল ঘরামী নামের এক ব্যক্তি অনুমতিক্রমে বসবাস করছেন।
তবে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি নুর আলম নামের এক ব্যক্তি তার সহযোগীদের নিয়ে তাদের বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালান। এ ঘটনায় তার ভাই গাউস মাতুব্বর কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শেষে থানার এসআই শাহ আলম সত্যতা নিশ্চিত করে নুর আলমকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন এবং উভয়পক্ষকে সালিশ বৈঠকের জন্য কাগজপত্রসহ উপস্থিত হতে বলেন। কিন্তু নুর আলম সালিশে অংশ না নিয়ে বাড়ি জবরদখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
গোলাম মোস্তফা আরও বলেন, নুর আলমের বাবা আব্দুর রহিম বিভিন্ন দলিলের মাধ্যমে ০.৯১ একর জমি বিক্রি করেছেন, যা তার পাওনা সম্পত্তির চেয়েও বেশি। এরপরও নুর আলম ওই খতিয়ানের ০.৬৬ একর জমি দাবি করে বেআইনি দখলের চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে একটি উচ্চ আদালতের মামলাও রয়েছে, যেখানে তাদের ক্রয়কৃত জমির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
তিনি অভিযোগ করেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি নুর আলম তাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ সম্মেলন করেন, যা তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। এ কারণে তারা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নুর আলম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। গোলাম মোস্তফা ও গাউস মাতুব্বরের কাছে জমি বিক্রি করা ব্যক্তি প্রকৃত মালিক নন, তিনি ওভার সেল করেছেন।”