
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: ২০ বছর আগে ক্রয় করা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ হেলাল খান ও তার পরিবারের সদস্যদের বর্তমানে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। জমি বিক্রেতার ছেলের দায়ের করা মামলায় তারা এখন আসামি। হেলাল খানের স্ত্রী ও সাবেক ইউপি সদস্য সাবেরা আক্তার কনিকা সোমবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেরা আক্তার কনিকা লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০০৪ সালে বনাতিপাড়া মৌজা থেকে তার স্বামী হেলাল খান ও দেবর কামাল খান ৬৯ শতাংশ জমি আবু নয়ন মৃধার কাছ থেকে ক্রয় করেন। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তারা এ জমিতে বসবাস করছেন। তবে, জমি বিক্রেতার ছেলে সুজন মৃধা সম্প্রতি তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন। একাধিকবার তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর তাদের একটি ঘরে আগুন লাগানো হয়।
এ বিষয়ে সুজন মৃধা তাদের পুড়ে যাওয়া ঘর নিজের দাবি করে গত ১৩ নভেম্বর কলাপাড়া থানায় হেলাল খান, তার দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলে, ও আরও চারজনের নামে মামলা করেন।
সাবেরা আক্তার অভিযোগ করেন, বিএনপি পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণেও তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। দীর্ঘ ২০ বছর জমিতে বসবাস করা সত্ত্বেও জমি দখলের পাঁয়তারা চলছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তাদের ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
অন্যদিকে, সুজন মৃধা দাবি করেছেন, তার বাবা আবু নয়ন মৃধার বিক্রি করা জমি অন্য দাগে ছিল। কিন্তু হেলাল খান ও তার ভাই জোরপূর্বক তাদের জমি দখল করে আছেন। এমনকি তারাই তার ঘরে আগুন দিয়েছে বলে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন।
তাং: ১৮.১১.২০২৪