
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি ও বসতভিটা দখলমুক্ত রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিবন্ধী যুবক নুর আলম। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় তার মা সালেহা বেগম ও ভাইগ্না জাহিদুল উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নুর আলম জানান, কলাপাড়া পৌরসভার নাচনাপাড়া এলাকায় ৬৬ শতক পৈত্রিক সম্পত্তিতে তারা ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। তার বাবা রহিম সিকদার ওই জমি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ সিকদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে রায় পান। এরপর পরিবারটি শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছিল।
কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর, স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা— মস্তফা মাতুব্বর, গাউস মাতুব্বর, খবির মুন্সী, কালাম মুন্সী, আনোয়ার ঘরামী, দুলাল ঘরামী ও মামুন মৃধা— জাল কাগজপত্র তৈরি করে সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা শুরু করেন। তারা নুর আলমের বাড়ির সীমানা ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করছেন এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নুর আলম আরও জানান, প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি থানা ও স্থানীয় সেনা ক্যাম্পকে অবহিত করা হয়েছে, তবে এখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি প্রশাসন ও রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনের পরও হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে নুর আলম বলেন, “আমি এবং আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। একজন প্রতিবন্ধী নাগরিক হিসেবে আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গাউস মাতুব্বরের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নুর আলম তার প্রাপ্য পৈত্রিক সম্পত্তির চেয়ে বেশি জমি বিক্রি করে দিয়েছে। এখন কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে নতুন করে একটি ঘর তুলে পুরো জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে আমরা, যারা জমি কিনেছি, চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।”
তবে গাউস মাতুব্বরের এ বক্তব্যকে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছেন নুর আলম। তিনি বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের জমি রক্ষার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করছি। আমরা চাই, প্রশাসন প্রকৃত সত্য যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।”
এই সংস্করণটি আরও তথ্যবহুল ও পেশাদারভাবে গুছিয়ে লেখা হয়েছে, যাতে পাঠকের কাছে বিষয়টি স্পষ্টভাবে পৌঁছায়।