
সংবাদ ২৪ বিডি ডেস্কঃ
পটুয়াখালী: বহুল আলোচিত পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অপহরণের নাটক সাজিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আউয়াল অন্তর—এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ।
নিখোঁজের ৫৪ ঘণ্টা পর ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি বাড়ি থেকে অন্তরকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের দাবি, পারিবারিক বিরোধ এবং চলমান আন্দোলনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি নিজেই আত্মগোপনে যান।
পুলিশের অনুসন্ধান কী বলছে?
রবিবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর নিখোঁজ হওয়ার পর তার মোটরসাইকেল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর পরিবারের উদ্বেগের মধ্যে তার বড় ভাই থানায় একটি মামলা করেন, যেখানে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অন্তরের অবস্থান শনাক্ত করা হয় এবং ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
অন্তরের ‘অপহরণ’ নাটকের রহস্য উন্মোচন
উদ্ধারের পর পুলিশের কাছে অন্তর স্বীকার করেন যে, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। তিনি নিজেই পরিকল্পিতভাবে আত্মগোপনে যান। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনার দিন রাতে তিনি কলাপাড়া মহিলা কলেজ রোড থেকে বাসায় ফেরার পথে একটি মাইক্রোবাস এসে তার মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয় এবং কিছু লোক তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। কিন্তু পরে তাকে মাওয়ার কাছে ফেলে দেওয়া হয়।
অন্তর জানান, এই ঘটনার পর তিনি পরিবার বা দলের কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করে সরাসরি ঢাকায় বন্ধু আল আমিনের কাছে চলে যান। পুলিশের মতে, এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আত্মগোপন, যা রাজনৈতিক ও পারিবারিক ফায়দা নেওয়ার জন্য সাজানো হয়েছিল।
আন্দোলনের নেপথ্যে ‘নাটকীয়তা’?
অন্তরের এই ঘটনা পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আন্দোলনের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ বলছে, তিনি এই ইস্যুটিকে সামনে এনে জনমত গঠনের চেষ্টা করছিলেন। তবে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আন্দোলনের বাস্তব চিত্র ও অন্তরের নাটকের উদ্দেশ্য কী ছিল, তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।