
এম. নাছির উদ্দীন (কলাপড়া,পটুয়াখালী) পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার চিংগোরিয়া ও রহমতপুর এলাকার সরকারি খাল দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ সাতটি স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে দখলকৃত খাল দখলমুক্ত করতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
দীর্ঘদিন ধরে এসব খাল দখল করে গড়ে উঠেছিল ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। যার ফলে জলাধার সংকুচিত হয়ে পড়ে, পানি চলাচল ব্যাহত হয় এবং দেখা দেয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। এতে নষ্ট হয় পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য। এলাকায় বাড়তে থাকে দুর্গন্ধ, মশা-মাছির উপদ্রব এবং পানিবাহিত নানা রোগের প্রকোপ। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা শারীরিক সমস্যার খবর পাওয়া যায়। এই অবস্থায় পৌরবাসীর ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়।
‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯’-এর আওতায়।
দখলদারদের বিরুদ্ধে আগেই সাত দিনের নোটিশ ইস্যু করা হয়। কিন্তু তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দখল না ছাড়ায় রবিবার (১১ মে,২০২৫) সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার সমন্বয়ে পরিচালিত হয় উচ্ছেদ কার্যক্রম। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম, যিনি বর্তমানে পৌর প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করছেন। এ সময়
উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, পৌরসভার কর্মকর্তারা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিক ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ থাকায় এলাকার পানি নিষ্কাশন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। ফলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা, মশা-মাছির উপদ্রব। শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের মাঝে ডায়রিয়া, চর্মরোগ ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। পরিবেশগত ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ে।
অভিযান পরিচালনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, “পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় আমরা কোন আপস করব না। খাল দখলের কারণে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। আমরা চাই, কলাপাড়ার মানুষ নিরাপদ ও স্বস্তির পরিবেশে বসবাস করুক। তাই এ ধরনের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

জনপ্রতিক্রিয়ায় প্রশংসার ঝড়
এই সাহসী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপে ব্যাপক সাড়া পড়ে কলাপাড়ার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ইউএনও মোঃ রবিউল ইসলামের সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তাঁর সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত ও কঠোর প্রশাসনিক ভূমিকার কারণে খাল দখলমুক্ত হচ্ছে—এমন বার্তায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং আশার আলো দেখছেন স্থানীয় বাসিন্ধারা।
তার প্রশাসনিক দৃঢ়তা ও কার্যকর উদ্যোগের জন্য কলাপাড়াবাসী প্রশংসায় ভাসছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রবিউল ইসলাম ।