জমি অধিগ্রহণের পর বাস্তুচ্যুতদের কর্মসংস্থানে ব্যর্থ সরকার: এবিএম মোশাররফ

সংবাদ ২৪ বিডি নিউজ ডেস্ক :
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, শের-ই-বাংলা নৌঘাঁটি ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ করলেও বাস্তুচ্যুত পরিবারের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। অথচ এখানে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হতো, যা সরকার উপেক্ষা করেছে।’

তিনি মঙ্গলবার কলাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী সিকদার পরিবারের ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আলিফ শিকদার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র হাজী মো. হুমায়ুন শিকদার। এবিএম মোশাররফ আরও বলেন, ‘সিকদার পরিবারের ঐক্য একটি দৃষ্টান্ত। আজকের এই মিলনমেলায় অন্তত ৬ হাজার পরিবারের সদস্য উপস্থিত হয়েছেন, যা প্রমাণ করে ঐক্যই শক্তি।’

তিনি আরও জানান, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যাতে এখানে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত করা যায়। এটি বাস্তবায়িত হলে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর সদস্যদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আহসান হাবিব মিলন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মকবুল আহমেদ, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. নাসির উদ্দিন, কলাপাড়া চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি নুরুল হক মুন্সি, পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো. ফারুকসহ সিকদার পরিবারের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

সভাপতির বক্তব্যে হাজী হুমায়ুন শিকদার বলেন, ‘আমরা কলাপাড়াকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত রাখতে চাই। এর জন্য সবার সহযোগিতা দরকার। ভালো কাজের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ঢাকার অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন শিকদার এবং কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল ইসলাম কেনান শিকদার।

এর আগে, আলিফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রকাশিত ‘বন্ধন’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত শেষে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন সিকদার পরিবারের সদস্যসহ ৬ হাজারের অধিক আমন্ত্রিত অতিথি। দল-মত নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে ঈদ পুনর্মিলনী উৎসব প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *