কলাপাড়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর ওপর নির্মম নির্যাতনের অভিযোগঃ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর লড়াই


সংবাদ ২৪ বিডি নিউজ ডেস্কঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা নুরুন্নাহার কেয়া (৩০)। অভিযোগ উঠেছে, তার স্বামী শিমুল মৃধা ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আয়শা বেগম মিলে তাকে মারধর করেন।
সোমবার (১০ মার্চ) শেষ বিকেলে টিয়াখালী ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় নুরুন্নাহার কেয়াকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন, যেখানে তিনি এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পরিবারের অভিযোগ: দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় নির্যাতন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নয়া মিয়া হাওলাদারের মেয়ে নুরুন্নাহার কেয়ার সঙ্গে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত কালাম হাওলাদারের ছেলে শিমুল মৃধার ১৩ বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। তবে কিছুদিন আগে শিমুল দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকেই নুরুন্নাহারের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়।
নুরুন্নাহারের পরিবারের দাবি, দ্বিতীয় স্ত্রী আয়শার উসকানিতে শিমুল প্রায়ই তাকে মারধর করতেন। সর্বশেষ ঘটনার দিন শিমুল ও আয়শা মিলে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করেন, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হন।

অভিযুক্ত স্বামীর দাবি: ‘আমি মারিনি’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিমুল মৃধা বলেন, “আমি বড় বউকে মারিনি। বরং বড় বউয়ের ভাই, মা, বাবা ও ফুফু এসে আমার ছোট বউয়ের ওপর হামলা করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কান ছিঁড়ে যায়।”
আইনি পদক্ষেপের দাবি, পুলিশের বক্তব্য
নুরুন্নাহারের পরিবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিচার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তবে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল ইসলাম জানান, “এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা নৃশংস এই নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *